অনুচ্ছেদ-১: 'ক' নামক একটি এলাকাতে 'খ' নামক একজন ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি মনোনীত হন। 'খ' জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর পরই তার কাছের লোকদের দ্বারা বাধার সম্মুখীন হন। এ সুযোগে ঘরে-বাইরের ষড়যন্ত্রে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
অনুচ্ছেদ-২: সুন্দরগঞ্জ এলাকার মানুষ যথাযথ শিক্ষার সুযোগ লাভ করতে না পেরে অজ্ঞতা ও অন্ধবিশ্বাসে নিমজ্জিত ছিল। এ অবস্থায় তাদের মধ্যে এক নতুন ধরনের শিক্ষার বিস্তার লাভ করায় এতদিন ধরে তারা যে ভুল ও অযৌক্তিক কাজ করে আসছিল সে সম্পর্কে তাদের মনে প্রশ্ন জাগে।
উদ্দীপকে অনুচ্ছেদ-১-এ বর্ণিত ঘটনার সাথে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার হত্যার মাধ্যমে ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠার ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে।
বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার নবাব আলিবর্দী খাঁর মৃত্যুর পর তাঁর প্রিয় নাতি সিরাজউদ্দৌলা মাত্র ২২ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন। ক্ষমতার উত্তরাধিকার নিয়ে নবাবের পরিবার এবং রাজপ্রাসাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তরুণ নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে তাঁর খালা ঘসেটি বেগম, মীর জাফর, মীর কাসিমসহ রাজদরবারের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ এবং উমিচাঁদ, জগৎশেঠ ও রাজবল্লভদের মতো তৎকালীন ধনী অভিজাতদের একটি অংশ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ইংরেজ বণিকরা তাদের সাথে যোগ দেয়। ফলে ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন পলাশীর যুদ্ধে প্রধান সেনাপতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতার মধ্য দিয়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটে। নবাবকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। উদ্দীপকে অনুচ্ছেদ-১ এ 'খ' তথা সিরাজউদ্দৌলার ক্ষমতা গ্রহণের পর কাছের লোক যেমন- খালা ঘসেটি বেগম, মীর জাফর এবং বাইরের লোক অর্থাৎ ইংরেজ বণিকদের ষড়যন্ত্রে মৃত্যুবরণ করেন।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকের অনুচ্ছেদ-১-এর ঘটনাটি পলাশী যুদ্ধের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলায় ইংরেজ কোম্পানির ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?